টেকনাফ উপজেলা পরিচিতি টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা । এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা । টেকনাফ ...
টেকনাফ উপজেলা পরিচিতি
টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা।টেকনাফ উপজেলার আয়তন ৩৮৮.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৮২ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে উখিয়া উপজেলা, পূর্বে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং দক্ষিণে ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।১৯৩০ সালে টেকনাফ থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। টেকনাফ উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন আছে। সম্পূর্ণ টেকনাফ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম টেকনাফ মডেল থানার আওতাধীন.
টেকনাফ পর্যটন এলাকা হওয়ায় দেশ-বিদেশ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-টেকনাফ রুটে এই উপজেলার সীমান্তে সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতি বছর প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। এছাড়া টেকনাফ বন্দর, নাফ নদী-বঙ্গোপসাগর থেকে মূল্যবান মাছ আহরণ, খনিজ লবণ, পান সুপারী ইত্যাদি অর্থ উপার্জনের প্রধান মাধ্যম। পাহাড় ও নদী-সাগর ঘেরা টেকনাফে সুন্দর লবণ মাঠ এবং বড় বড় মৎস্য খামার আছে। এই স্থান কৃষি কাজ, লবণ চাষ ও মাছ চাষ করার জন্য বেশ উপযোগী।
টেকনাফ উপজেলায় অনেক হাট-বাজার রয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ বাজার, সিকদারপাড়া বাজার, সাবরাং নোয়াপাড়া বাজার, হ্নীলা বাজার, শাহপরীরদ্বীপ বাজার, শামলাপুর বাজার, টেকনাফ সদর বটতলী বাজার, হোয়াইক্যং বাজার উল্লেখযোগ্য।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ; বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ।
ছেঁড়া দ্বীপ
শাহপরীর দ্বীপ
তৈঙ্গা চূড়া
টেকনাফ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক
টেকনাফ সমুদ্র সৈকত
মাথিনের কূপ
বাংলাদেশ-মায়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট
শীলখালী চিরহরিৎ গর্জন বাগান
মারিশবনিয়া সৈকত
টেকনাফ সমুদ্র সৈকত
কিভাবে যাবেন টেকনাফ
ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সড়ক ও বিমান সকল পথেই কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার থেকে বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে টেকনাফ যাওয়া যায়। পালকি নামক বাস কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে টেকনাফে বিরতিহীনভাবে চলাচল করে, ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বা হাইস গাড়িতে জন প্রতি ভাড়া পড়বে ২০০ টাকা, এই গড়িগুলো মেরিন ড্রাইভ দিয়ে চলাচল করে। এতে সময় কম লাগে এবং ভ্রমণ হয় আরামদায়ক। এছাড়া নীল দরিয়া নামে পর্যটকবাহী গাড়ী মেরিন ড্রাইভ দিয়ে চলাচল করে, ভাড়া জন প্রতি ১৭০ টাকা। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টেকনাফে সরাসরি এসি ও ননএসি বাস পাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থান
·
সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যা মূল ভূখণ্ডের সর্ব-দক্ষিণে এবং কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ১৭ বর্গ কিলোমিটারের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ। স্থানীয় ভাষায় সেন্টমার্টিনকে নারিকেল জিঞ্জিরা বলেও ডাকা হয়।
·
শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর মোহনায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। প্রথম ইংরেজ-বর্মী যুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা এই দ্বীপের দাবি করে। শাহ পরী টেকনাফের সর্ব দক্ষিণে ভূ-ভাগের খুবই নিকটবর্তী একটি দ্বীপ এবং টেকনাফ উপজেলার উপদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত।
·
ছেঁড়া দ্বীপ বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু। দক্ষিণ দিকে এর পরে বাংলাদেশের আর কোনো ভূখণ্ড নেই। সেন্টমার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে ছেঁড়াদিয়া বা সিরাদিয়া বলা হয়ে থাকে। ছেঁড়া অর্থ বিচ্ছিন্ন বা আলাদা, আর মূল দ্বীপ-ভূখণ্ড থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন বলেই এ দ্বীপপুঞ্জের নাম ছেঁড়া দ্বীপ।
·
তৈঙ্গা চূড়া বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা টেকনাফের অন্তর্গত সংরক্ষিত বন টেকনাফ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের সর্বোচ্চ চূড়া।
·
কালো রাজার সুড়ঙ্গ সুড়ঙ্গটি দেখার জন্য বাসে করে হোয়াইক্যং বাজারে যেতে হবে। এরপর পায়ে হেঁটে প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। মূলত ঝিরি বা পাহাড়ী নালা পার হয়ে কালো রাজার সুড়ঙ্গে পৌঁছতে হয়।
এছাড়া অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
·
সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক
·
টেকনাফ সমুদ্র সৈকত
·
মাথিনের কূপ
·
বাংলাদেশ-মায়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট
·
টেকনাফ ন্যাচার গেম রিজার্ভ
·
শীলখালী চিরহরিৎ গর্জন বাগান
·
মারিশবনিয়া সৈকত
·
কুদুমগুহা
·
টেকনাফ সমুদ্র সৈকত
No comments