একটি চিঠি অতঃপর সব এলোমেলো কাফি আনোয়ার : সুদীর্ঘকাল ধরে ঈদগাঁ'র আপামর জনসাধারণের লালিত স্বপ্ন ছিল এই জনপদ একদিন উপজেলায় রুপান্তরিত হবে। ...
একটি চিঠি অতঃপর সব এলোমেলো
সুদীর্ঘকাল ধরে ঈদগাঁ'র আপামর জনসাধারণের লালিত স্বপ্ন ছিল এই জনপদ একদিন উপজেলায় রুপান্তরিত হবে।
ইতিহাসের এক মাহেন্দ্রলগ্নে 'দ্য লীজেন্ড অব লীডার্স', বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী এবং তাঁরই ফিলোসোপিক্যাল ও আইডিওলজিক্যাল লীগ্যাসী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের পূর্বপ্রতিশ্রুতি রক্ষা করে ২৬ জুলাই ২০২১ তারিখে ঈদগাঁ'কে নতুন উপজেলা হিসেবে অনুমোদন দিলেন প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৭তম সভায়।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে ৫টি ইউনিয়ন ১. ইসলামপুর ২. পোকখালী ৩. ইসলামাবাদ ৪. ঈদগাঁও ৫. জালালাবাদ নিয়ে গঠিত হলো ঈদগাঁও উপজেলা।
নবসৃষ্ট ঈদগাঁও উপজেলার আয়তন ৮৬.২০কি.মি , জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩শত ৮৬জন। যা নতুন উপজেলা স্থাপন সংক্রান্ত নীতিমালার শর্তপুরণ করেনা। তবে প্রস্তাবিত ঈদগাঁও উপজেলার ইউনিয়নগুলোর ভৌগোলিক অবস্থান , প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা,অবকাঠামোগত অসুবিধা ও অনুন্নত যোগাযোগাব্যবস্থা, দুর্যোগ মোকাবেলা ও জলোচ্ছ্বাস প্রবণতা ও উপজেলা সদর থেকে আনুমাণিক ৪০কিমি দুরত্ব বিবেচনায় স্থানীয় সরকার সচিবের প্রভাব ও একান্ত চেষ্টায় শর্তশিথিল্যোগ্য ক্যাটাগরিতে যোগাযোগ,আইনশৃঙ্খলা, শিক্ষা,স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ঈদগাঁও'কে উপজেলা ঘোষণার সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহিত হয়।
প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৭তম সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, নিকার সভার আলোচনায় প্রস্তাবিত ঈদগাঁও উপজেলার সদর দপ্তর অধিক্ষেত্রের ( ৫টি ইউনিয়ন) যথাসম্ভব মধ্যবর্তী এলাকায় হতে হবে এবং জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অকৃষি খাস জমিকে অগ্রাধিকার প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
তবে ওই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ( গ) তে বলা হয়েছে প্রস্তাবিত উপজেলা সদর দপ্তর ঈদগাঁও মৌজায় স্থাপন করতে হবে।
সিদ্ধান্ত ( ঙ) তে বলা হয়েছে ঈদগাঁও উপজেলা কমপ্লেক্সএর জক্ন্য পুকুর'সহ ৬(ছয়) একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে এবং অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে অকৃষি খাস জমিকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
নিকারের ওই সভার কার্যবিরবণী অনুসারে সভায় উপজেলা সদর স্থাপন সংক্রান্ত অন্য কোন আলোচনা হয়নি এবং এ সংক্রান্ত অন্য কোন দিকনির্দেশনা কোথাও প্রদান বা আলোচনা হয়নি।
তাহলে প্রশ্ন ওঠে, ঈদগাঁও উপজেলা সদর দপ্তর স্থাপন নিয়ে রশি টানাটানা শুরু হল কীভাবে? কে বা কাহারা এই বিতর্কের অবতারণা করলো। কার স্বার্থে বা কার ইন্ধনে এই কাবাডি কাবাডি খেলা বা রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি?
নিকার সভার কার্যবিবরণীতে কোথাও কোন ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করা হয়নি। কেন
ঈদগাঁও ইউনিয়ন কিংবা ইসলামাবাদের এই বাদানুবাদ? কেন আদার ব্যাপারিরা গায়ে পড়ে জাহাজের খবর নিতে শুরু করলো?
একটি চিঠি, একটি দাবি, কিছু মানুষের স্বাক্ষর বদলে দিলো পুরো দৃশ্যপট।
চলবে...…
No comments