সিবিবিএন :: ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্টিত নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত তথ্য নির্ভর কোন অভিযোগ আসেনি এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৮০ টি আসনে ইভিএ...
সিবিবিএন ::
ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্টিত নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত তথ্য নির্ভর কোন অভিযোগ আসেনি এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৮০ টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন সব সময় ইভিএম এ নির্বাচন করার পক্ষে রয়েছে। আগামীতে নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছে।
১১ মার্চ শনিবার কক্সবাজারের অভিজাত এক হোটেলে “নির্বাচনী ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়” শীর্ষক দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের “সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায়” চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের উদ্যোগে এ কর্মশালাটি অনুষ্টিত হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ ভোটাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়া। ভোটাররা কে, কোন দলকে ভোট দিয়েছে সেটা কমিশনের দেখার বিষয় নয়। ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারেন, যদি প্রতিহত করা হয়; ভোট কেন্দ্রে যদি তাদের অধিকার খর্ব করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে আমাদের ব্যর্থতার দায় নিতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ব্যাপকভাবে আস্থাভাজন হয়ে ইসি ইভিএম এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইতিপূর্বে ইভিএম পদ্দতিতে অনুষ্টিত নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত তথ্য নির্ভর কোন অভিযোগ আসেনি। তাই ইসির যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে আগামী সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৮০ টি আসনে নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান ও জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নতুন ভোটার, জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধা সহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহন করেন।
No comments